বিশ্বকাপ জিতলেও পাঁচ বছরের জন্য জেলে যেতে পারেন মডরিচ!

ফেভারিটদের ধরাশায়ী করে প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছেছে ক্রোয়েশিয়া। এর আগে তৃতীয় স্থান পর্যন্ত ছিল বিশ্বকাপে হারভাসকা দলটির সেরা অর্জন। ব্রোঞ্জের পর সোনা জেতার লক্ষ্য এবার তাদের।

গ্রুপপর্বে ক্রোয়েশিয়া মেসির দলকে নাস্তানাবুদ করে দেয়ার পর ফুটবলবিশ্ব নড়েচড়ে বসে। মাত্র ৯ ম্যাচের ট্রেনিংয়ে দলটি রাশিয়া বিশ্বকাপে চমকের পর চমক দেখিয়েছে। শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে আজ রাত ৯টায় ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হচ্ছে ক্রোয়েশিয়া।

আর দলকে ফাইনালে নেওয়ার পেছনের অন্যতম কারিগর ছিলেন তারকা মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ। শিরোপা পেলে দলের অধিনায়ক হিসেবে রূপকথার গল্পটি তারই হাতে লেখা হবে।

তবে দলের এত সাফল্যের পরও জেলেবন্দি হতে পারেন মডরিচ। অভিযোগ, তিনি আদালতে দুর্নীতিগ্রস্ত ক্লাব পরিচালকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বিবৃতি দিয়েছেন। আর তা প্রমাণিত হলে তার পাঁচ বছরের জেল হতে পারে!

মডরিচের খেলোয়াড়ি জীবনের শুরুটা হয় ডায়নামো জাগরেব ক্লাবের হয়ে। এ ক্লাবের সাবেক পরিচালক দ্রাভকো মামিচ ছিলেন একজন দুর্নীতিগ্রস্ত ক্লাব পরিচালক। কর ফাঁকির দায়ে তিনি এখন সাড়ে ছয় বছরের জন্য কারাবন্দি। মামিচের বিরুদ্ধে রয়েছে আরও অনেক অভিযোগ।

অভিযোগ ছিল, মামিচ নতুন কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে এমনভাবে চুক্তি করতেন যাতে করে ওই খেলোয়াড় পরবর্তী কোনো ক্লাবে গেলে সেই ট্রান্সফার ফির লাভের অংশটা মামিচকে দিতে হবে।

একই রকম চুক্তি মডরিচের সঙ্গেও করেছিলেন। ক্রোয়েশিয়ার গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ, ২০০৮ সালে মডরিচ ডায়নামো ক্লাব ছেড়ে টটেনহ্যামে হটস্পারে গেলে চুক্তি অনুযায়ী তার ট্রান্সফার ফির অর্ধেকটা মামিচকে দিয়েছিলেন মডরিচ। এ অর্থের পরিমাণ ছিল প্রায় ৮ মিলিয়ন ইউরো।

এদিকে মামিচের সাজাপ্রাপ্ত মামলায় সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত থেকে মডরিচকে ডাকা হয়। প্রথমে মামিচের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দেন, কিন্তু পরে তা অস্বীকার করেন মডরিচ।

নিজের বিবৃতিকে অস্বীকার ও দুর্নীতিগ্রস্ত একটি লোককে সঙ্গ দিয়ে আদালতকে সাহায্য না করায় ক্রোয়েশিয়ার জনগণের কাছে ঘৃণার পাত্রে পরিণত হন মডরিচ।

মিথ্যা বিবৃতি দেওয়ার জন্য অভিযোগ ওঠে মডরিচের ওপর। অভিযোগ প্রমাণিত হলে পাঁচ বছরের জন্য জেল হয়ে যেতে পারে ক্রোয়েশিয়ার এ তারকা মিডফিল্ডারের।